9

বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আপনাদের বহুল প্রতিক্ষিত এসইও টিউটোরিয়াল নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। একজন ইউজার যখন কোনো কিছু খোঁজার জন্য  সার্চ ইঞ্জিনের কাছে যায়,  সার্চ ইঞ্জিন তার কাছে যে তথ্য থাকে তা থেকে আপনার প্রশ্নের ফলাফল প্রদর্শন করে। বিভিন্ন  সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটটিকে চিনিয়ে দিয়ে ইউজারকে আপনার সাইট সম্পর্কে অবহিত করার জন্য আমাদের সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করা।
সার্চ ইঞ্জিন বলতেই আমরা মনে করি গুগল, কিন্তু এছাড়াও আরো অনেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। সার্চ ইঞ্জিনগুলো প্রতিনিয়ত তাদের এলগরিদম পরিবর্তন করে উন্নত করতে চেষ্টা করছে। যেভাবে SEO এর ধারনাটি পরিবর্তিত হলঃ

On-Site optimization:

কী ওয়ার্ড (মুখ্য শব্দ) নির্বাচনের ক্ষেত্রেঃ

পুরনো পদ্ধতি
নতুন পদ্ধতি
সুনির্দিষ্ট শব্দাবলীঃ প্রধানত-সন্ধান আয়তনের উপর ভিত্তি করে খুব সুনির্দিষ্ট মুখ্য শব্দগুলোকে লক্ষ্য করে থাকত।
শব্দের বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রঃ একটা বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য উদ্দেশ্যমূলক মুখ্য শব্দ সমুহকে লক্ষ্য করে থাকে।
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা অনুভবের ক্ষেত্রেঃ
পুরনো পদ্ধতি
নতুন পদ্ধতি
ডিজাইনিং ও SEO: ডিজাইনিং বিষয়টি SEO থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। সাধারনত একটি ওয়েবসাইট অপটিমাইস হওয়ার পর Onsite UX এবং ব্যবহার যোগ্যতা আসতো।
বর্তমানে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা অনুভবের বিষয়টিকে এক নম্বর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নিম্ন মানের ওয়েবসাইট প্রতিহত করা হয়েছে। ফলে গড় সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে হঠাৎ করে এসে চলে যাওয়া সাইট এর হার কমানো হয়েছে। টাইটেল অপটিমাইজেশনের সুবিধাও রয়েছে।
মোবাইল ডিভাইসের জন্য বিশেষ কোন সুবিধা ছিল না।
সব ধরনের মোবাইল ডিভাইস ও ট্যাবলেট এর জন্য প্রযোজ্য বেবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
সাইট লোড হওয়ার গতি থেকে ২০১১ এর নিবন্ধনগুলোর অধিক প্রাধান্য ছিল।
বর্তমানে সাইট লোড হওয়ার গতিকেই সর্বাধিক গুরুত্ত দেওয়া হয়েছে।
সাইট এর বিষয় বস্তুর উপর ভিত্তি করেঃ
পুরনো পদ্ধতি
নতুন পদ্ধতি
সার্চ ইঞ্জিনকে মুখ্য ধরে বিষয় বস্তু লেখা হত। বড় বাক্য লিখতে হত।
সাধারনত মানুষকে লক্ষ্য করে লেখা হয়, সার্চ ইঞ্জিন কে লক্ষ্য করে নয়। এতে নির্দিষ্ট দর্শককের দিকে লক্ষ্য কেন্দ্রীভুত হয়।
সাইটের কনটেন্ট সৃষ্টির ভিত্তি ছিল একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য সংবলিত কী ওয়ার্ড ঘনত্ব।
কী ওয়ার্ড ঘনত্ব বিষয় না। বারংবার একই কী ওয়ার্ড ব্যাবহারস্পাম হিসেবে বিবেচিত হবে।
সাইট কনটেন্ট কে দেখা হত প্রধানত টেক্সট কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে।
কনটেন্ট হবে বিভিন্ন রকম তথ্য সমৃদ্ধ। যেমন- ভিডিও, তথ্য চিত্র, ইন্টারনেটর খন্ডতথ্য, দলিল (সাদা পাতা), প্রেজেন্টেশান ইত্যাদি।
মুখ্য শব্দগুলোর সাথে মিল রেখে সূচিপত্র আসতো। মুখ্য শব্দগুলো উপস্থিত থাকলেই চলত, বর্ণনা ছিল না।
এখন ‘Title Tag’ এর মাধম্যেই কনটেন্ট বিপনণ করা যায়। এতে করে এটি  বিজ্ঞাপনের মতো কাজ করে।
গুগল ২০০৯ এর মার্চ থেকে hCard নামক ক্ষুদ্র ধাঁচের কনটেন্ট মার্ক আপ করা এ শুরু করেছিল। তার ফলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কনটেন্টগুলোই তাদের আওতায় আসতো।
Schema.org ও এরকম বহু রূপরেখা বিশিষ্ট সাইট কাজ করতে পারে। GoogleYahooBing একত্রে ২০১১ এর জুনেSchema.org চালু করে। এতে অনেক টুকিটাকি খবর পর্যালোচনা, রেসিপি, ভিডিও মার্কআপ ইত্যাদি আছে। অন-পেজ SEO এর ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক গুরুত্ব বহন করে।
অনাবশ্যক বা আগুন্তক লেখকগণ ছিলেন প্রতিদিনের পরিদর্শক। সার্চ ইঞ্জিন অনাবৃতকরণে লেখক ও চিন্তায় অগ্রগামীরা পুরস্কৃত হতেন না।
লেখক-সত্ত্ব ট্যাগ পাবলিশারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যা বাস্তব সার্চ ফলাফল তৈরি করে এবং বিশ্বাসের একটি স্তর সৃষ্টি করে।

লিংক বিল্ডিং এবং অফ পেজ অপটিমাইজ করণঃ
পুরনো পদ্ধতি
নতুন পদ্ধতি
অফ-সাইট বিষয় বস্তুর উৎস ছিল উপকূলবর্তী বহিঃ উৎস। একই লেখাকে পরিবর্তন করে লেখা নিম্ন মানের আর্টিকেল দিয়ে ভরা ছিল সাইটগুলো।
উচ্চ মানের পরিশীলিত এবং সৃজনশীল বিষয় সমৃদ্ধ ভালো ভালো লেখক, চিত্র কারিগর, সম্পাদক প্রমুখদেরকে মুখ্য করে দেখা হয়। এক্ষেত্রে লেখার মোট সংখ্যা অপেক্ষা লেখার মান অধিক গুরুত্ত পায়।
অ্যাংকর টেক্সট এর সাথে হুবহু মিল থাকলে পরেই উচ্চ মর্যাদা পাওয়া যেত।
কী ওয়ার্ড ব্যাক লিংক বিশেষ ধরণের অ্যাংকর টেক্সট সহযোগে গঠিত। তার ফলে অপেক্ষাকৃত বড় লেখার ক্ষেত্রে লিংক তৈরি হয়। যেমন-মাঝে মাঝে “নোয়েস” এর জন্য “Click Here”-এই অপশনটি আসে। এতে ক্লিক করলে অতিরিক্ত লিংক দেখা যায়।
আক্রমণাত্মক পুঙ্খানুপুঙ্খ অ্যাংকর টেক্সট মিল ছিল। প্রাথমিক কী ওয়ার্ড ও পুঙ্খানুপুঙ্খ মিল বিশিষ্ট ডোমেনগুলো ছিল সোনার মত মূল্যবান। তারা অল্প লিংক বিল্ডিং এর প্রয়োজন বোধ করত শুধুমাত্র ভালো মর্যাদা পাওয়ার জন্য।
এখানে সবকিছু বাণিজ্যিক চিহ্ন সংবলিত।
দৃষ্টি নিবদ্ধিত থাকে ব্র্যান্ড এর কোর ডোমেন নিবদ্ধ করণে। ব্র্যান্ড ডোমেন চেনার জন্য সামাজিক সংকেত ব্যবহার করা হয়। যেমন:FacebookTwitterLinkedIn এবং Google+ ইত্যাদিকে অনুসরন করা হয়।
Fake বা ভুয়া ব্লগ যাকে “flog” বলে তা থেকে দেয়া লিংক, প্রদেয় লিংক, ব্লগ এর বিজ্ঞাপনের স্বার্থে তৈরি লিংক বা “MFA” এর জন্য তৈরি সাইট বা নেটওয়ার্ক ব্লগগুলো ভালো মর্যাদা পেত।
উচ্চমানের গুণ বিশিষ্ট অতিথি ব্লগিং এবং সেই সাথে সৎ ও কর্মঠ সামাজিক সংকেত বিশিষ্ট লেখনীগুলো সর্বাধিক মর্যাদা পেয়ে থাকে।
বিস্তর পরিমানে নকল ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি প্রকাশনা ছিল। নিন্ম মানের প্রকাশনার জন্য কোন পর্যালোচনা পদ্ধতি ছিল না। তাই এমন প্রকাশনা ছিল বহুল প্রচলিত।
বর্তমানে বহুল পর্যালোচনা পদ্ধতি প্রচলিত হয়েছে। অর্থ প্রদান সাপেক্ষ মানুষ দ্বারা অথবা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যে কোন প্রকাশনা পর্যালোচনা করা যায়। যার ফলে উত্তম সার্চ ফলাফল হিসেবে প্রত্যেকটি প্রকাশনা তার দর্শকদের সামনে আসে অদ্বিতীয় বর্ণনার কারনেই।
Online PR (পেজ মর্যাদা) এবং লেখা নিবেদন ব্যবহার হত প্রাথমিক ভাবে “backlink” উতপাদন করতে। সেটা প্রশংসার যোগ্য কিনা তা পর্যালোচনা করা হত না।
বর্তমানে সৃজনশীলতাই হল চাবিকাঠি। PR Back-links আর তেমন গণনাযোগ্য নয়। প্রকৃত PR এবং তথ্যবহুল লেখনি প্রকাশ করা হয়।
আত্মনিয়ন্ত্রিত ব্লগ কমেন্টিং সফটওয়্যার দ্বারা লেখার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হত।
ব্লগ কমেন্ট লিংকগুলোর বর্তমানে কোন প্রভাব নাই। বাস্তব মানুষের সাথে কথা বলার মাধ্যমেই যুক্ত হয়ে মর্যাদা বৃদ্ধি করা যায়। তবে ব্লগ কমেন্টগুলো নতুন পরিদর্শক আনতে কাজে লাগে।
সামাজিক যোগাযোগের চাইতে লিংক বেশী কার্যকর ধরা হত। যে আর্টিকেলগুলো নিবেদন করা হত ফেসবুকটুইটারইয়াহুBuzzডিগইত্যাদিতে তা গুপ্তাবস্থা থেকে প্রকাশিত হত এবং গুরুত্ত বহন করত।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগকে বলা হয় পদ-বর্ধনের মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বিজ্ঞাপনের কাজ দেয়। SEO এর জন্য গুগল+টুইটারফেসবুকলিংকড-ইন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত।
দেখে নেওয়া যাক SEO Term নতুন ও পুরাতনঃ
পুরাতনঃTechnical SEO => Link builder => Low level link builder
Technical SEO => Copywriter => Offshore copwriter
নতুনঃ Technical SEO => Creative link builder => Social media seo => Local SEO specialist => International SEO specialist
Technical SEO => Expert specialist copywriter => Video editor => Conversion rate optimizer
Technical SEO => Info graphic designer => Graphics designer
গুগল ALGORITHM প্রধান আপডেট সমুহঃ
পুরনো পদ্ধতি
নতুন পদ্ধতি
প্রধান কনটেন্ট আপডেট একটি নিম্ন মানের আপডেট ছিল যা সামান্য ভারি কনটেন্ট বিশিষ্ট সাইটদের সাথে লড়াই করত। বড় বিজ্ঞাপনগুলো বড় ধরণের ভারি বিষয়-বস্তু আচ্ছাদিত করে রাখত, ফলে তা মর্যাদা প্রাপ্তি থেকে বিরত থাকত।
Penguin update কে ব্যাক লিংক আপডেটও বলা হয়। এটি প্রধানত স্প্যাম বা ভুয়া সাইট প্রতিহত করে। এটি নিম্ন মানের সাইটও প্রতিহত করতে পারে।
SEO এর সংজ্ঞাঃ
পুরনো
নতুন পদ্ধতি
SEO হল একটি ওয়েব সাইট এর পদোন্নতির কৌশল। যার মূল লক্ষ্য হল কিছু কী ওয়ার্ড বা বাক্যাংশ এর উপর ভিত্তি করে আপনার সাইটটি কে সার্চ ইঞ্জিন এর ফলাফলে প্রথমের দিকে আনা।
SEO হল বহু কঠোর নিয়ম নিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম যা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত উৎপাদনশীল ট্র্যাফিক খোঁজার চেষ্টা করে।
এটি প্রযুক্তিগতভাবে একাগ্রচিত্তে সে সকল সাইটকে যুক্ত করে যেগুলো একটি সহ-সম্পর্ক বিশিষ্ট কুয়ারির (প্রশ্ন যা সার্চ করতে দেওয়া হয়) দ্বারা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত।
এসইও করতে গেলে প্রথমে আপনাকে একটি পরিকল্পনা করতে হবে এবং ঐ পরিকল্পনা মোতাবেক আপনাকে কাজ করতে হবে।
তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তী টিউটোরিয়ালে আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করছি। ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন Blogger

  1. ভাই আপনাদের ভিডিও গুলোকি শুধু যারা আপনারা কাছ থেখে ট্রেনিং করছে তাদের জন্য নাকি সকলের জন্য আমরাতো ভাই দেখতে পারতেছিনা প্লিজ কিছু একটা বলেন ভাই

    উত্তরমুছুন
  2. Help me:
    এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল কুরিয়ার (সুন্দরবন কুরিয়ার সাভিস) মাধ্যমে ডিভিডি সংগ্রহ করতে চাই।
    - মাহফুজ রহমান
    বগুড়া সদর, বগুড়া।
    ০১৭১৫৬১৬২৮০, mahfuzbd.info@gmail.com

    উত্তরমুছুন

fuck
ass
suck
dick

 
Top